মিলাদুন্নবী থেকে সিরাতুন্নবী কেনো?

আমরা অনেক সময় অনেক বিষয়কে খুব ছোট মনে করি। বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক মনে করি। অথচ ভালোভাবে অনুসন্ধান করলে সেখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসে, যা আমাদেরকে চমকে দেয়। আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হওয়া অনেক বিষয় মূলত: ইবলিশীয় গভীর ষড়ষন্ত্রের অংশ। যদিও আমরা বিষয়গুলোকে সেভাবে চিন্তা করি না।

মিলাদুন্নবীর কঠিন বিরোধিতা ও সিরাতুন্নবীর দিকে যাওয়ার পেছনেও এমনই একটি বড় ধরণের ইবলিশী এজেন্ডা আছে। যা হয়ত আমরা অনেকে না বুঝেই গা ভাসিয়েছি।

মূল বিষয় হলো, নজদের খারেজী ইবনে আব্দিল ওয়াহহাবের মূলত: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সব ধরণের দুশমনি লালন করতো। তার এই দুশমনির একটা অংশ এও ছিলো যে, সে মনে করত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চল্লিশ বছর বয়স হওয়ার আগে বা দুনিয়াতে নবুওয়াত প্রকাশের আগে কুরাইশদের দ্বীনের উপর ছিলেন। অর্থাৎ মুশরিক ছিলেন। নাউজুবিল্লাহ।তাদের মতে, নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে যেহেতু তিনি কুরাইশদের ধর্মের উপর ছিলেন, এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তি পর্যন্ত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের জন্য ওহী আসার পর থেকে সিরাত গুরুত্বপূর্ণ।

অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু এর নবুওয়াত হযরত আদম আ: এর সৃষ্টির আগেই দেয়া হয়েছে। দুনিয়াতে শুধু প্রকাশিত হয়েছে চল্লিশ বছরে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, নবীজীর নবুওয়াতের স্বাক্ষ্য অন্য সকল নবীর কাছ থেকে নিয়েছেন।

আর এই কারণেই সালাফীদের মাঝে সিরাত উৎসব, সিরাত ওয়ার্কশপ, সিরাতুন্নবী মাহফিল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ হলেও মিলাদুন্নবী সবচেয়ে বড় বিদয়াত। উপরের এই মালউন আকিদার কারণেই মূলত: রাসূল সাল্লাল্লহু আালাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মবৃত্তান্তের সাথে এদের বিশেষ শত্রুতা। এমনকি তারা এই শিরোনামই সহ্য করতে পারে না। শুনলেই গাত্রদাহ শুরু হয়।

যে মনে করে নবুওয়াত প্রকাশের পূর্বে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুশরিক ছিলেন বা কুরাইশদের ধর্মের উপর ছিলেন, তার উপর কিয়ামত পর্যন্ত শত কোটি লা’নত।

Author: mehedihassan2017

I m a Muslim (sunni)

Leave a comment